গাজীপুরে মাওনায় ডিম ও দুধ উৎপাদনকারীদের পাশে সিদীপ

গাজীপুরে সিদীপের মাওনা ব্রাঞ্চ কর্ম-এলাকায় সিংদিঘী গ্রামে আনোয়ারা, মাহিনুর, শেফালী, মোমেনা, শিউলি বেগমসহ কয়েকজনের লেয়ার মূরগির ফার্ম রয়েছে। অনেকেই সিদীপের সদস্য। প্রত্যেক ফার্মে প্রায় ৩০০০ থেকে ৫০০০ ডিম দেয়ার উপযুক্ত মুরগি আছে। এ সকল ডিম ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ হতো। 
করোনা-দুর্যোগের ফলে ঢাকা থেকে কোনো ব্যবসায়ী ডিম নিতে আসছিলো না। ফলে ডিম বিক্রি বন্ধ হওয়ার পথে। জানা যায়, পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় আড়তদাররা ডিম নিতে পারছিল না। সিদীপ ব্রাঞ্চের কর্মীরা খোঁজ নিলে আড়ৎদাররা বলেন, ডিম আড়তে পৌঁছে দিলে তারা ডিম কিনবেন। দেখা গেল, দুজন সিদীপ সদস্যের স্বামী পিক-আপ গাড়ির চালক। যোগাযোগ করা হলে পিক-আপ চালকরা বলেন, এই সময়ে কোন ট্রিপ পেলেতো ভালই হয়, অনেক দিন বাড়িতে বসা, হাতে কোন টাকা-পয়সা নাই। পোলাপান লইয়া খামু কী? সিদীপ-কর্মীরা তখন ঐ দুই চালককে মুরগির ফার্মওয়ালাদের সাথে সরাসরি কথা বলিয়ে দেন।  তখন প্রতিদিন পিক-আপে করে ডিম ঢাকার কারওয়ান বাজার ও মিরপুরে যাওয়া শুরু করে। 
আবার নিজমাওনা গ্রামে জয়নব, হাজেরা, শেফালি, শামীমাসহ সিদীপের ১০/১২ জন সদস্যার গাভীপালন প্রকল্প রয়েছে। প্রত্যেকের খামারে ৮ থেকে ৪০টি গাভী রয়েছে। এ সকল খামারের উৎপাদিত দুধ স্থানীয় ও ঢাকার বিভিন্ন মিষ্টি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ হতো। কিন্তু করোনার আতংকে কেউ দুধ কিনতে আসছিলো না। সিদীপ-কর্মীরা খোঁজ নিয়ে জানেন মাওনা চৌরাস্তার আশেপাশে ব্যাপক দুধের চাহিদা রয়েছে এবং দামও ভালো। তারা চৌরাস্তার ৩/৪ জন দুধবেপারির সাথে কথা বলেন ও তাদের সঙ্গে খামারিদের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই থেকে নিজমাওনা গ্রামের গাভীর দুধ বেপারিদের কাছে ন্যায্য দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে খামারি ও বেপারি উভয়েই লাভবান হচ্ছেন।
এলাকার ডিম ও দুধ উৎপাদনকারীরা বলেন, এভাবে সবাই সহাযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে মানুষ উপকৃত হবে এবং সবাই ভাল থাকবে।